Sunday, August 30, 2009

3D QUARAN

An Excellent interactive collection of Quran which you can keep in your archive. Just click on the link below and explore the Quran ....

http://www.quranflash.com/en/index.html#


Hope this helps many who wants to recite Quran but don't get it in time.




COLLECTED FROM SB FORUM BY TITAS BHAI. THANK TO HIM......

Sunday, August 23, 2009

LifeLine of Rasulullah (S:)


Thanks to Ahmed Zakaria who mail me this.....

Wednesday, August 19, 2009

Youtube থেকে আপনার পছন্দের ফাইল Download করবেন কিভাবে?

আমি যতদূর জানি Youtube থেকে সব ধরনের Video file download করা যায়না। শুধুমাত্র যেসব ফাইল Authenticate করা আছে অর্থাত File-এর against-এ download permission দেয়া আছে সেগুলোই করা যাবে। Authenticate Video File install করার জন্য এখন আপনি নীচের দুটি ধাপ follow করুনঃ

ধাপ ১

1. আপনার PC-র web browser থেকে Youtube-এ যান (www.youtube.com).
2. আপনি যে Video file download করতে চান সেটি open করুন। যদি আপনি কোন পছন্দের Video file download (Shahrukh khan এর Hindi Movie Song) করতে চান তো কি করবেন? Youtube-এর Search box-এ Shahrukh Khan type করুন এবং ডান পাশে Video select করে Search-এ click করুন।
3. নতুন Window আসবে। এখানে Shahrukh Khan এর Video File এর Icon দেখতে পাবেন। এখন Vedio File Icon এর উপর click করুন, File টি open হবে। এখান থেকে আপনি আপনার Favorite Song খোজতে পারবেন। কারণ Video Icon এর উপর click করলেই নতুন Window আসবে এবং Related Video File প্রদর্শন করবে।
4. পছন্দের Video File Open করার পর URL/Address থেকে Right Button এ click করে Link টি Copy করে নিন।
ধাপ ২

1. আপনার PC-র Browser থেকে www.keepvid.com টাইপ করে নতুন Window open করুন।
2. Youtube থেকে Copy করা Link টি URL বক্স এ Pest করুন এবং ডানপাশে Download লেখার উপর Click করুন।
3. এখন আপনার Pest করা Link টি নীচে উল্লেখিত Download Links এর under এ প্রদর্শন করবে। এখানে দু প্রকার Download অপশন পাবেন। প্রথম অপশন থেকে Load করলে শুধুমাত্র FLV Player এ open হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে FLV Player install করতে হবে। দ্বিতীয় অপশন থেকে MP4 formet- এ install করা যাবে।
আপনি যে অপশন এ Video file download করতে চান সেটার উপর কার্সর নিয়ে Right Button এ Click করে Save terget as a গিয়ে আপনার PC তে Location দেখিয়ে দিন। Save এ Click করুন। তারপর? তারপর অপেক্ষার পালা ....

: Converter Install করে ইচ্ছেমতো আপনার Download করা Video File টি বিভিন্ন Formet-এ Convert করতে পারবেন। www.keepvid.com থেকেই FLV Player ও Converter Download করা যাবে। (Shahrukh Khan কে ভাল লাগে তাই তার নামটাই ব্যবহার করা হয়েছে)

Friday, August 7, 2009

অনেকেরই স্বপ্ন ব্যাংকিং পেশা

মশিউর রহমান বর্তমানে চাকরি করছেন একটি বেসরকারি ব্যাংকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং এমবিএ করে পরীক্ষা দেন বিভিন্ন সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকে। শেষ পর্যন্ত চুড়ান্তভাবে টিকে যান একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে এবং বেসরকারি ব্যাংকে। কিন্তু যোগ দিয়েছেন ব্যাংকেই।
শুধু মশিউর রহমান নন, তাঁর মতো অনেকেরই পছন্দ আজ ব্যাংকিং পেশা। এ বিষয়ে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘মুক্তবাজার অর্থনীতির ফলে দেশে বাণিজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গড়ে উঠছে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ব্যাংকব্যবস্থা।’ তাঁর মতে, ব্যাংকগুলো এভাবে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি সৃষ্টি করেছে কর্মসংস্থানের।
পেশা হিসেবে কেমন: বর্তমানে দেশে মোট ৪৮টি ব্যাংক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। এর মধ্যে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত, পাঁচটি বিশেষায়িত, নয়টি বিদেশি এবং ৩০টি বেসরকারি ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সংখ্যা ও শাখা, কার্যক্রম বৃদ্ধি, উন্নত গ্রাহকসেবা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করছে বলে এখানে ক্যারিয়ার গড়ার ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নাজিমউদ্দৌলা জানান, ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যাংকিং পেশা চমৎকার। একজন মেধাবী ব্যাংকার অতি অল্প সময়ে আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন। এ ছাড়া চাকরির নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদা তো আছেই।
কাজের ক্ষেত্রগুলো: দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ব্যাংকগুলো তাদের কর্মসুচি চালাতে খুলছে নতুন শাখা। সেই সঙ্গে খোলা হচ্ছে বিভিন্ন বিভাগ। মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি আধুনিক ধারার ব্যাংকে সাধারণত বিনিয়োগ, করপোরেট ব্যাংকিং, প্রশাসন ও তদারকি, বিপণন জনসংযোগ ইত্যাদি বিভাগ থাকে। বিভাগ পরিচালনার জন্য থাকেন একজন বিভাগীয় প্রধান। কার্যক্রমের সঙ্গে বিভাগের কাজ যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে লোকের চাহিদাও।
যোগদান ও পদোন্নতি: ব্যাংকগুলো প্রথম সারির কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য সাধারণত ব্যবস্থাপনা শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা (এমটিও) প্রবেশনারি অফিসার (পিও), শিক্ষানবিশ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা (টিএসও) বা ট্রেইনি অফিসার (টিও) পদে আবেদন আহ্বান করা হয়। তবে কোনো কোনো ব্যাংক আবার জুনিয়র অফিসার, অফিসার ইত্যাদি পদে নিয়োগ প্রদান করে থাকে। শিক্ষানবিশকাল শেষে এমটিওকে ফার্স্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার, পিওকে এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং টিএসওকে সিনিয়র অফিসার এবং টিওকে অফিসার হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতার বলে একজন প্রথম সারির কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়ে এভিপি, ভিপি হয়ে পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি পেয়ে তিনি উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এমনকি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পর্যন্ত হতে পারেন। নির্দিষ্ট মেয়াদ পেরোলে কর্মকর্তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরির মেয়াদ, পেশাগত দক্ষতা, ব্যাংকিং জ্ঞান বিবেচনা করে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
বেতন-ভাতাদি: বেসরকারি ব্যাংকগুলো তাদের কর্মকর্তাদের চাকরি শুরুর দিকে ১২ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা বেতন দিয়ে থাকে। জ্যেষ্ঠ নির্বাহী স্তরে অর্থাৎ অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট থেকে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরদের বেতনক্রম প্রায় ৬০ হাজার থেকে প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার টাকা হয়ে থাকে।
নিয়োগ-প্রক্রিয়া: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করে ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটি। এ ছাড়া অন্য ব্যাংকগুলো যাবতীয় নিয়োগ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত হয়। শিক্ষানবিশ কর্মী নিয়োগের জন্য পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে ব্যাংকগুলো। অপরদিকে অভিজ্ঞ, দক্ষ কর্মী নিয়োগের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে সিভি সংগ্রহ করা হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর সরাসরি মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে বিভিন্ন পদে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়
পরীক্ষা পদ্ধতি ও প্রশ্নের ধরন: শিক্ষানবিশ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত ও মৌখিক দুই ধরনের পরীক্ষা হয়। লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে কিছুটা ভিন্নতা আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাংলায় বা ইংরেজিতেও হতে পারে। পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান, মানসিক যুক্তি প্রভৃতি বিষয় থেকে প্রশ্ন হয়। পরীক্ষা শুধু মাল্টিপল চয়েজ কোশ্চেন (এমসিকিউ) অথবা এমসিকিউ এবং সহজ রচনামূলক প্রশ্ন মিলেও হতে পারে।
পড়াশোনা ও যোগ্যতা: ব্যাংকগুলো বর্তমানে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেয়। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা হিসেবে এমবিএ, এমবিএম, বাণিজ্যিক বিষয়ে স্মাতকোত্তর, অর্থনীতি, ইংরেজি, পরিসংখ্যান বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। সাধারণত ব্যাংকে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগ্রহীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা দ্বিতীয় শ্রেণী চাওয়া হয়। আবার কিছু ব্যাংকে সব পর্যায়েই প্রথম শ্রেণী চায়। এ ছাড়া ইংরেজিতে দক্ষতা ও কম্পিউটার জানা থাকতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্মাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের আবেদন চাওয়া হলে স্মাতক ডিগ্রিধারীরাও অনেক ক্ষেত্রে আবেদন করতে পারেন।
সার্বিক মূল্যায়নে ব্যাংকিং পেশা একটি চমৎকার পেশা। এ পেশায় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি নিজেদের জীবনযাত্রার মান, সামাজিক মর্যাদা ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। এসব কারণে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার এখন অনেক মেধাবীর স্বপ্ন। তবে সেই স্বপ্ন পূরণে দরকার প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তুতি ও চেষ্টা।

সাইদ আরমান

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে লাভজনক বিনিয়োগ

বিশ্বায়নের যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য আর ছোটখাটো অবস্থানে সীমাবদ্ধ নেই। অভ্যন্তরীণ গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য বেচাকেনায় প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশিরাও। বাংলাদেশে অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা নানা ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করে থাকে। এ সম্পর্কে এসকে+এফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম ফারুক বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে ওষুধ রপ্তানি করে আসছি। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করা। শুধু ওষুধের ক্ষেত্রে বিষয়টি প্রযোজ্য নয়, যেকোনো পণ্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান নিয়ন্ত্রণ হলো পণ্য রপ্তানির পূর্বশর্ত।’ তিনি আরও বলেন, পণ্য যাতে ব্যবহারকারীর ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। ওষুধ ছাড়াও বাংলাদেশে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। মান নিয়ন্ত্রণ ও দামের দিক থেকে বাংলাদেশি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে জায়গা করে নিয়েছে।
তাই এ খাতে বিনিয়োগ করে আমদানি-রপ্তানির ব্যবসায় যোগ দিতে পারেন আপনিও।

সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র
আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি কিছু কিছু পণ্যের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশেও বৈদেশিক পণ্যের চাহিদা ও ঘাটতি থাকায় আমদানি-রপ্তানি খাতে অনেক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। কথিকা ট্রেড এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুশফিকুল আলম বলেন, ‘পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের এ প্রতিষ্ঠান দেশের অন্যতম। আগে আমরা বিভিন্ন ধরনের পণ্য যেমন−হস্তশিল্প, চামড়াজাত দ্রব্য, পোশাকশিল্প, অডিও সিডি, পোলট্রি খাদ্যসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রী আমদানি-রপ্তানি করেছি। কিন্তু বর্তমানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অন্যান্য পণ্যের চেয়ে পাটজাত পণ্যের কদর বেড়েছে। তাই পাটজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা জোর দিয়েছি।’
আমদানি-রপ্তানি একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র−জানালেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য কর্মকর্তা রহিমা আক্তার। প্রতিনিয়ত এ খাতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে এবং রকমারি পণ্যসামগ্রী রপ্তানির আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পণ্য উন্নয়ন বিভাগ নতুন নতুন পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরামর্শ দিয়ে থাকে। এ ছাড়া আমাদের এখানে নতুনদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে গ্রন্থাগারের সুবিধা উল্লেখযোগ্য। গ্রন্থাগারে বিভিন্ন ধরনের আমদানি-রপ্তানিবিষয়ক পত্রিকা, বই এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলে এখানে এসে আমদানি-রপ্তানিবিষয়ক যাবতীয় বিষয় যেমন−বিশ্বের কোন কোন দেশে কী ধরনের পণ্যের চাহিদা রয়েছে এবং বিশ্বের সামগ্রিক মানচিত্র তুলে ধরার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। আমাদের মেলা বিভাগ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেলার আয়োজন করে থাকে। যে কেউ ওই মেলায় অংশ নিতে চাইলে তথ্য বিভাগ তাদের সহযোগিতা করে থাকে। এ ছাড়া আমাদের এখানে আগ্রহীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও সেমিনারের ব্যবস্থা রয়েছে এবং একটি আমদানি-রপ্তানিবিষয়ক তহবিল রয়েছে। এ তহবিল থেকে বিভিন্ন রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহাযোগিতা করা হয়।’

কীভাবে শুরু করবেন
এ ব্যবসায় যে কেউ সহজে বিনিয়োগ করতে পারেন। প্রথমত, থাকতে হবে সরকারি অনুমোদন এবং একটি স্থায়ী প্রতিষ্ঠান−জানালেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রশাসনিক সহকারী জাকির আহমেদ। তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হলে সর্বপ্রথম থাকতে হবে ট্রেড লাইসেন্স এবং আমদানি ও রপ্তানি নিবন্ধন সনদ (আইআরসি) এবং (ইআরসি)। ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে সিটি করপোরেশন থেকে, আইআরসি এবং ইআরসি সনদ নিতে হবে প্রধান আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে। এ ছাড়া পণ্যের ধরন অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক সনদ অথবা চেম্বার অব কমার্সের অনুমোদন থাকতে হবে। তারপর পণ্য রপ্তানির সময় বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক কিছু অনুমোদন থাকাটা অনেক জরুরি। সেগুলো হলো সার্কভুক্ত দেশের ক্ষেত্রে সাপটা ও সাফটা সনদ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষেত্রে জিএসটিপি সনদ ও সিও সনদ এবং কোরিয়ার জন্য কেপিটি সনদ উল্লেখযোগ্য।

ব্যাংকের কার্যাবলি
আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে হলে ব্যাংকের হিসাব খোলা একটি প্রাথমিক কাজ। ব্যাংক হিসাব খুলতে ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। ব্যাংক সচ্ছলতার পরিচয়স্বরূপ একটি সনদ দেবে, যা এই ব্যবসায় স্বীকৃতির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে আমদানি-রপ্তানিকারীরা বিনিয়োগের জন্য ঋণ পেয়ে থাকেন। ঋণপ্রাপ্তির বিষয় সম্পর্কে ক্যাজুয়াল ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম জানান, প্রায় সব বাণিজ্যিক ব্যাংক আমদানি-রপ্তানি খাতে বিনিয়োগের জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে। তবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা পোহাতে হয়। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সাধারণত ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ পোষণ করে থাকে। তাই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় ঋণ দিয়ে এ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে।

কী ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করবেন
পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্য নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়−জানালেন হটেক্স ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা এম রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, কী ধরনের পণ্য কোন দেশে পাঠাবেন এবং ওই দেশে ওই পণ্যের চাহিদা কেমন সে বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। যেমন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য ও ফুলের খুব কদর রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে বাংলাদেশি পোশাকের অনেক চাহিদা আছে। এমন বিষয় সম্পর্কে সার্বিক ধারণা রেখে পণ্য বাছাই করা উচিত। বাংলাদেশে আমদানিজাত অনেক পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে নির্মাণসামগ্রী, শিল্প-কারখানার জন্য কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, পরিবহনসামগ্রী, টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশন, ওভেন, রেফ্রিজারেটরসহ বিভিন্ন গৃহসামগ্রী, খনিজতেল, ভোজ্যতেল, চর্বি, রাসায়নিক দ্রব্য, ওষুধ, খাদ্যশস্য, শিশুখাদ্য, পানীয় দ্রব্য ইত্যাদি। আর রপ্তানিজাত পণ্যের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক, ওষুধ, পাট, চা, চামড়া, তামাক, পাটজাত দ্রব্য, হস্তশিল্প, কুটির শিল্প, রকমারি ফুল ইত্যাদি।

যোগাযোগ দক্ষতা
যোগাযোগ দক্ষতা আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে একটি জরুরি বিষয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমদানি ও রপ্তানিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে এবং বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করে। এসব প্রতিষ্ঠানে যাঁরা কর্মরত আছেন, তাঁদের সঙ্গে একটা ভালো যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কম মূল্যে কাজ করে দেওয়ার প্রবণতা থাকলে এ খাতে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। চুক্তি অনুযায়ী দ্রুত ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করে দিতে হবে এবং নিজেকে বিশ্বস্ত হিসেবে প্রমাণ করতে হবে। সাধারণত দুই মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির কাজ করা হয়−নৌ ও আকাশপথ। তবে ভালো মানের ও বেশি পরিমাণে পণ্য পাঠাতে চাইলে মালবাহী সমুদ্রগামী জাহাজে পাঠানো ভালো।

ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা
আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় ইংরেজি ভাষার অনেক গুরুত্ব রয়েছে−জানালেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কর্মকর্তা জাকির আহমেদ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য বেচাকেনার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার কোনো বিকল্প নেই। পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের সঙ্গে খোলামেলাভাবে কথা বলতে হয়। সে ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী হলে অনেকাংশে সুবিধা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফরাসি, স্প্যানিশ, মান্দারিন, জাপানিজ, জার্মান ভাষা জানা থাকলে এ পেশায় বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ওই দেশগুলো বাংলাদেশে পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে বেশি ভুমিকা রাখছে।

প্রতিষ্ঠানের অবস্থান
ব্যবসায় নামতে হলে প্রতিষ্ঠানকে আমদানি-রপ্তানি উপযোগী করে স্থান নির্ধারণ করতে হবে। ব্যবসার জন্য সমুদ্রবন্দর বা স্থলবন্দর এলাকা বাছাই করতে পারেন। এতে কাজ করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। দুটি পথে বিভিন্ন ধরনের লোক নিয়োগ করতে পারেন। একটি কাস্টমসকেন্দ্রিক; অন্যটি সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দরকেন্দ্রিক। এ ব্যবসায় দ্রুততার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। সময়মতো রপ্তানি পণ্য পাঠানো এবং আমদানি পণ্য বন্দর থেকে খালাস করতে হবে।

সহযোগী প্রতিষ্ঠান
আমদানি-রপ্তানির ব্যাপারে যেসব প্রতিষ্ঠান আপনাকে সহযোগিতা প্রদান করে থাকে, সেগুলোর মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বিদেশে অবস্িথত বাংলাদেশের মিশনগুলো, আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সাধারণ বীমা করপোরেশন, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংক, অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক, বাংলাদেশ বিমান, বাংলাদেশ শপিং করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন, বিদেশি জাহাজ কোম্পানিগুলোর স্থানীয় শিপিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট), শিল্প ও বণিক সমিতি এবং হটেক্স ফাউন্ডেশন অন্যতম।

প্রাতিষ্ঠানিক পরিচিতি
প্রাতিষ্ঠানিক পরিচিতি এ ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম ছড়াতে চাইলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এ ছাড়া বিলবোর্ড ও প্রচারপত্রের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক পরিচিতি বৃদ্ধি করতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করুন এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন। বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে পারলে যেকোনো ক্রেতা আপনাকে খুঁজে নেবে।

বর্জনীয় দিক
কোনো অবস্থাতেই বিদেশি বা দেশি ক্রেতাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা যাবে না। কেননা, তা আপনার দেশের খ্যাতি ও ব্যক্তিগতভাবে আপনার ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট হতে পারে। গৃহীত নমুনা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহের সময় পণ্যের মান সংরক্ষণে উদাসীন হবেন না। ব্যবসায়িক লেনদেনে আপনার সপক্ষে একান্ত গোপন তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করবেন না। ব্যবসায়িক জ্ঞানার্জনে কোনো ব্যক্তির বা সংস্থার সদুপদেশ উপেক্ষা করবেন না। ব্যবসা পরিচালনায় দেশের প্রচলিত আইন অমান্য, উপেক্ষা কিংবা অপপ্রয়োগ করবেন না। ব্যবসায়ে সাময়িক ব্যক্তিগত সুবিধা ভোগের স্বার্থে ভারসাম্যহীন দর প্রদান করে ব্যবসায়িক নৈতিকতা খর্ব করবেন না। ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে বিদেশ ভ্রমণকালে ক্রেতাদের সঙ্গে এমন কোনো আচরণ করবেন না, যা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। ব্যবসায়িক লেনদেনে এমন কোনো উদ্যোগ বা পদক্ষেপ নেবেন না, যা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে দেশের স্বার্থের পরিপন্থী হয়। কোনো অবস্থাতেই দুর্নীতির আশ্রয় নেবেন না। কারণ, সর্বশেষ বিশ্লেষণে তা আপনার এবং দেশের মঙ্গল সাধন করে না।